চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মজুরি কম হওয়ার কারণে কাজে না যাওয়ায় হায়াত আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ দিনমজুরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) সন্ধার পর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হায়াত আলী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ। হায়াত আলী জালশুকা গ্রামের মাঠপাড়ার মৃত হাজারি মণ্ডলের ছেলে। 

হায়াত আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার সকালে শংকরচন্দ্র গ্রামের ক্যাম্পপাড়ার তাহাজ্জেল হোসেন তার পাট ক্ষেতে ৩৫০ টাকা মজুরি হিসেবে আমাকে কাজ করার জন্য বলেন। আমি ৪শ টাকা মজুরি চাইলে তিনি সাড়ে ৩শ টাকা দিতে চান। কম মজুরি হওয়ায় আমি কাজে যায়নি। এ দিন মাগরিবের নামায আদায় করে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলাম। 

এ সময় তোফাজ্জেল হোসেন ও তার ছেলে ওবাইদুল হক আমাকে দোকান থেকে বাইরে ডেকে নিয়ে আসে। কাজে যায়নি কেন বলেই বাবা-ছেলে বাঁশ ও চেলাকাঠ দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মার্ভিন অনিক চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃদ্ধের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে শক্ত কোনো লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। শরীরের কোনো স্থানে হাড় ফেটেছে কিনা এক্স-রে রিপোর্টের পর জানা যাবে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মজুরি কম হওয়ার কারণে কাজে না গেলে বৃদ্ধ হায়াত আলীকে মারধরের বিষয়টি জেনেছি। এ ঘটনায় বুধবার রাতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভুগী বৃদ্ধ। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আফজালুল হক/আরআই