সময়মতো অফিস না করায় বেনাপোল কাস্টমসের দুই উপ-কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৬ মে তাদের শোকজ করেন কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান। শোকজপ্রাপ্তরা হলেন, আবদুল কাইয়ুম ও তানভীর আহম্মেদ। 

১৭ মে গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে আসা বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমানের সই করা শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, ১৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের অফিসে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত না করায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি-৩ (খ) অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হলো। কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

একাধিক আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস টাইম হলেও কর্মকর্তাদের অনেকেই খেয়াল-খুশিমতো অফিস করেন। সহকারী ও উপ-কমিশনারদের মধ্যে ঠিকমতো অফিসে না আসার প্রবণতা বেশি। 

তাদের ফোন করলে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। এতে সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ কর্মকর্তাদের কারণে অনেক সময় আমদানিকৃত পণ্য বন্দরে পড়ে থাকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা। 

এর আগে বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার বিল্লাল হোসেনসহ আরও ১৬ জন রাজস্ব কর্মকর্তাকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে উপ-কমিশনার বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে শুল্কফাঁকি চক্রকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে। 

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে কর্মকর্তাদের শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ জন ইতিমধ্যে জবাব দাখিল করেছেন। ভবিষ্যতে কোনো কর্মকর্তা ছুটি বাদে অফিস ফাঁকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জাহিদ হাসান