রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র আমলে নেন। পরে শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই দিন ধার্য করেন বিচারক মো. জিয়াউর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার এই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। সকালে আব্বাস আলীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়।

দুপুরের দিকে আদালতে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান সেটি আমলে নিয়েছেন। তিনি শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। 

গত বছরের ২২ নভেম্বর রাতে মেয়র আব্বাস আলীর ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বানালে ‘পাপ হবে’ এমন কথা বলতে শোনা যায় তাকে। ওই ঘটনায় পরদিন ২৩ নভেম্বর রাতে মেয়রের বিরুদ্ধে আরএমপির তিন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এর মধ্যে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় দায়ের করা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল মোমিনের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়।

আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানী ঢাকার ঈশা খাঁ হোটেল থেকে আব্বাস আলীকে আটক করে র‌্যাব। ২ ডিসেম্বর রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ তাকে আদালতে তোলে। সেই থেকে কারাবন্দি রয়েছেন আব্বাস আলী।

ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গত বছরের ২৪ নভেম্বর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ থেকে আব্বাস আলীকে অপসারণ করে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর দুদিন পর ২৬ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ হারান আব্বাস আলী।

আব্বাস আলী কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হন। 

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে গত বছরের ২৫ নভেম্বর পৌরসভার ১২ কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় গত বছরের ১০ নভেম্বর মেয়র আব্বাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই