ঢাকার ধামরাইয়ে তরুণ-তরুণীকে জিম্মি করে একটি কক্ষে আটকে রেখে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৪ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‍্যাব-৪। এসময় জিম্মি করা ওই তরুণ-তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালের দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামের মোকলেছুর রহমানের বাড়ি থেকে ওই তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার ও জিম্মিকারীদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন, ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. আল আমিন (৩০), কৃষ্ণ পুরা গ্রামের মৃত মহর আলীর ছেলে মো. আরিফুজ্জামান পিন্টু (৩৬), বারবাড়িয়া গ্রামের মো. আব্দুস সাওারের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) ও চারিপাড়া গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (৩৭)।

ভুক্তভোগী তরুণী ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকার মুক্তার আলীর বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত। ভুক্তভোগী তরুণ (১৯) তরুণী (১৬) মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার কৃষি প্রশিক্ষন ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, সাভারে ফোন ঠিক শেষে গত ২৩ মে রাত ১১টার দিকে বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন ওই তরুণী। এসময় সেখানে তার দেখা হয় ওই তরুণের সঙ্গে। পরে তারা একত্রে ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ির দিকে যেতে থাকলে স্থানীয় মোকলেছুর রহমানের বাড়ির সামনে তাদেরকে পথরোধ করে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে তারা তাদেরকে মোকলেছুর রহমানের বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে জিম্মি করে আটকে রেখে ছবি তুলে নেয় ও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদপত্রে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে তরুণের বাবার কাছে ফোন করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তারা ওই দুইজনকে রাত-ভর আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।

পরে সকালের দিকে ওই তরুণ টাকা আনার কথা বলে কৌশলে র‍্যাবকে বিষয়টি জানালে সিপিসি-৩ র‍্যাব-৪ এর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে ও এতে জড়িত ৪ জনকে আটক করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল, ১টি বাজাজ পালসার মোটরসাইকেল ও চাঁদাবাজির নগদ ৩২,০০০ (বত্রিশ হাজার) টাকা জব্দ করে।

মানিকগঞ্জ সিপিসি-৩ র‍্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ভবিষ্যতেও এমন কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সোহেল হোসেন/এমএএস