বাগেরহাটে ইটভর্তি ট্রলির ধাক্কায় আব্দুস সালাম খান (৪২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মোট তিনজন মারা গেলেন।  বুধবার (২৫ মে) বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুস সালামের মৃত্যু হয়। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের দড়াটানা সেতুর ঢালে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সামনে বাগেরহাট শহর থেকে আসা ইটভর্তি ট্রলির ধাক্কায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ভ্যান রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রেশমী বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। 

পরে আহত ভ্যানচালক আজগর মীর ও আব্দুস সালাম খানকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেয় স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজগর মীরের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে ট্রলির চালক পলাতক রয়েছেন। কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ ট্রলিটি জব্দ করেছে।

নিহতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামের বাবুল ফকিরের স্ত্রী রেশমী বেগম (৫০), কচুয়া উপজেলার শোলারকোলা গ্রামের সুলতান খানের ছেলে সালাম খান (৪২) এবং কচুয়া উপজেলার আঠাড়গাতি গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে ভ্যানচালক আজগর মীর (৫০)।

কাটাখালী হাইওয়ে থানার এসআই মো. হাসানুর রহমান বলেন, দ্রুতগামী একটি ট্রলির ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্যানটি রাস্তার খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রেশমী বেগমের মৃত্যু হয়। আহত হন ভ্যানচালক আজগর মীর ও যাত্রী আব্দুস সালাম খান। 

আহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভ্যানচালক আজগর মীর মারা যান। পরে আব্দুস সালাম খানকে উন্নত চিকিতসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

তানজীম আহমেদ/আরআই