জেলা মহিলা দলের নেত্রী রনির কটূক্তির জের ধরে বগুড়ার গাবতলীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার (২৯ মে) সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ থেকে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল থানার পাশে গেলে এ সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবু হালজার (২৫), মৎস্যজীবী লীগ নেতা লিমন, যুবলীগ নেতা সুজন (২৪)। তাদের মধ্যে দুজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাবতলী থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় গাবতলীতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গাবতলীতে শুক্রবার বিকেলে বিএনপির সম্মেলনে বগুড়া জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া জেরিন রনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি থানার পাশে পৌঁছালে সেখানে রনির আত্মীয়স্বজন মিছিলে পাথর নিক্ষেপ করে।

এ কারণে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাল্টা রনির বাড়িতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করন। এতে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি পাথর নিক্ষেপে এবং রাবার বুলেটে ১০ জন আহত হন।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তফা আব্দুর রাজ্জাক মিলুর মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি।

থানা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিল্টন মোবাইল বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

গাবতলী মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এনএ