সাভারে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত কৃষ্ণ সরকার (৪০) নামের এক ফটোগ্রাফার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বুধবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই গোবিন্দ সরকার চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

নিহত কৃষ্ণ সরকার (৪০) সাভারের সুতার নোয়াদ্দা ডি-২০ নং বাড়ির ননী গোপাল সরকারের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি স্টুডিওতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা থানার লালন শাহ্ মাজাররন পাশে মন্ডল পাড়া এলাকার মো. বারেকের ছেলে নয়ন (২৬), সাভারের আড়াপাড়া এলাকার ২৪ নং বাড়ির মো. বেল্লালের ছেলে সেপাল বাশার (২৫), একই এলাকার ৩৯/১ নং বাড়ির আবদুল আলিমের ছেলে মো. আকাশ (২৪) ও নামাবাজার এলাকার ১৩/১ নং বাড়ির জামালের ছেলে সোহেল ওরফে বুলেট (২৬)। তারা সবাই মাদক ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মে কৃষ্ণ সরকার কাজ শেষ করে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফেরার সময় ওই এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা নয়নসহ বাকি আসামিরা তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার বুকের বাঁ পাশে ও পেটের ডান পাশে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।

এ ব্যাপারে এনাম মেডিকেল কলেজের ডিউটি ম্যানেজার মো. ইউসুফ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সোমবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মারা যান। তার বুকে ও পেটে গভীর ক্ষত ছিল।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম শাহারিয়ার বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আজ সকালে কৃষ্ণ সরকারের মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে পেরেছি। নিহতের মরদেহ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

মাহিদুল মাহিদ/এনএ