রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১ জুন) দুপুরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। মামলার পরপরই পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দুদক থেকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা পাঠানো হয়েছে। 

দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ সালের ২৬ (২) ও ২৭ (১) এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং আইনের ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় করা এই মামলার বাদী দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন। তিনিই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

শেখ কামরুজ্জামান কুষ্টিয়া জেলার বারখাদা এলাকায় স্থায়ী শেখ ছলিম উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে রাজশাহী নগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকায় বসবাস করেন তিনি।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এলে ২০১৭ সালে প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামে দুদক।

ওই প্রকৌশলীকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একাধিকবার দুদক কার্যালয়ে ডেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। শেষে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদক থেকে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর সত্যতা নিরূপণে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া ও বর্তমান নিবাস রাজশাহীতে মাঠে পর্যায়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় দুদক। 

অনুসন্ধান শেষে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৬৮৬ টাকার সম্পদ পায় দুদক। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়। 

দুদক আরও জানায়, শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজশাহীর স্পেশাল জজ আদালতে আরও একটি দুর্নীতির মামলা চলমান। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। তিনি এই মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন বলে জানা যায়।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই