চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকশনের নির্দেশনা পেয়ে রংপুরে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানের প্রথম দিনেই ৩-৪ আড়ত মালিকের থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বুধবার (১ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগরীর চালের আড়তখ্যাত মাহিগঞ্জ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন ও আরিফ মিয়া। রংপুর মহানগর পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন জানান, মাহিগঞ্জে চালের আড়তে অভিযান পরিচালনার সময় বিক্রয় রসিদ না দেওয়া এবং যথাযথ ও মূল্যতালিকা না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সেকেন্দার অ্যান্ড সন্স, রায় ট্রেডার্স এবং এস এম ট্রেডার্স। আগামীতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে মাহিগঞ্জ চাল আড়তের অনেকেই গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন।‌ আবার কেউ কেউ দোকান ও গোডাউন খোলা রাখলেও চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন।

স্থানীয় সচেতন কয়েক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাহিগঞ্জ আড়তে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার বস্তা চাল মজুত রয়েছে। সেখানকার আড়ত মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই গোডাউন ছাড়াও বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে ও স্থাপনাতে চালের বস্তা মজুত করে রেখেছেন। এসব অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে গত এক সপ্তাহে রংপুরে চালের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে চলেছে। বর্তমানে চালের বস্তায় কেজিপ্রতি ৬ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই