আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের খুনিদের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। মানুষ দেখতে চায় উন্নত সমৃদ্ধ প্রগতিশীল বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন দেখিয়ে বর্তমানে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন। সকল বাধা বিপত্তি ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে পঁচাত্তরের খুনিদের দোসররা আরেকটি পঁচাত্তর ঘটানোর হুমকি দিচ্ছে। 

শনিবার (৪ জুন) বিকেলে কক্সবাজারের শহীদ দৌলত ময়দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই খুনিরা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তা ঠেকানোর জন্য বিএনপিসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়ে দেশের অগ্রযাত্রাকে ঠেকানোর মানসে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বার বার দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। শেখ হাসিনা বর্তমানে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। তাই তারা শেখ হাসিনাকে নয়, দেশের অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে ২১ আগস্টসহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এসব হুমকিদাতাদের রুখে দেবেন। 


জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ মনজুরের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার সদরের  ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেল, মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুর রহিম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ তৈয়ব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারূফ আদনান, জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক শাহেদুল আলম রানা, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শোয়াইব ইফতেখার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু প্রমুখ। 

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর