চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন তরুণ অলিউর রহমান। একপর্যায়ে লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। পরে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল।

অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন। 

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুনের ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা থেকে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন অলিউর রহমান। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। প্রায় চার মিনিট ধরে ফেসবুক লাইভে সবকিছু অন্ধকার দেখাচ্ছিল। বিস্ফোরণের পর থেকে নিখোঁজ ছিল লাইভে থাকা অলিউর রহমান। 

অলিউর রহমানের সহকর্মী রুয়েল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ওই সময় খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। তার লাইভ ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন। 

তিনি আরও বলেন, অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্ৰাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বজনরা চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। 

ওমর ফারুক নাঈম/এসপি