বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে যশোরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) যশোরের এম এম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ।

এতে বক্তারা বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারো প্রমাণিত হলো সারাদেশের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন।

বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে রূপাতলী হাজিংয়ের সি-ব্লকের হারুন ম্যানশন ভবনের মেসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সেখানে অবস্থানকারী ছাত্রদের মারধর করে মারাত্মক জখম করা হয়। হামলায় ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয় রূপাতলী বিআরটিসি কাউন্টারের রফিক নামের হেলপার। এ সময় আরও এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে রফিক ও কাউন্টারম্যান বাদল। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিআরটিসি কাউন্টার ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করেন।

সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন রূপাতলী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মোল্লাসহ ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা।

এ সময় কাওছার হোসেন শিপনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় শিক্ষার্থীদের। সড়ক অবরোধের মধ্য থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মোল্লাকে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা। সেই ঘটনার রেশ ধরে কাওছার হোসেন শিপন ও ইমরান হোসেন মোল্লার লোকেরা রাতে মেসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তবে কাওছার হোসেন শিপন বলেন, এই হামলা বা ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

হামলার পর পরই রাত আড়াইটার দিকে সড়কে কাঠ পুড়িয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের আশ্বাসে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় ১৪ ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

জাহিদ হাসান/এএম