পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে ‘কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক থেকে রংপুর বিভাগের আট জেলার উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি এ বিভাগের শিল্পায়নে আলাদা ঋণ, কর ও ভ্যাট নীতি প্রণয়নের বিষয়গুলো এবারের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। 

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে আরএমসিসিআই হলরুমে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় এ বৈঠকের আয়োজন করে রংপুর সিটি প্রেসক্লাব। 

বৈঠকে বক্তারা বলেন, বাজেটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনের নিমিত্তে বেসরকারি বিনিয়োগে প্রাণ ফেরানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখাসহ বৈষম্য নিরসনে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ইতিবাচক সুফল বয়ে আনতে পারে। দেশের ৮ ভাগের ১ ভাগ জনগোষ্ঠীর বাস রংপুর বিভাগে। বরাবরই দেশের বাজেটে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকে এই বিভাগ। দেশের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র ৩ জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুর জেলা। 

অথচ বাজেটে রংপুর বিভাগের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয় না। তাই এবারে রংপুরের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দসহ বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারকে সহায়ক নীতি ও বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা। 

বক্তারা আরও বলেন, শুধু কর বা ভ্যাট কমালেই যে বিনিয়োগ বাড়বে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্যবসা সহজীকরণ সূচক, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গ্যাস-বিদ্যুতের সহজলভ্যতার বিষয়গুলো মেটাতে না পারলে বিনিয়োগ কখনোই বাড়বে না। রপ্তানিমুখী ও বৃহৎ শিল্প প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা পেলেও অনানুষ্ঠানিক খাত, কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত (সিএমএসএমই) ও কৃষি খাত আজো উপেক্ষিত।

বৈঠকে সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের রংপুর জেলা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম দুলাল, মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গোলাম জাকারিয়া পিন্টু, পরিচালক এস এম রুবায়েত ফারমান, সাব্বির আহমেদ, মো. আসলাম, আতিকুল্লাহ, রুবায়েত হোসেন খান, সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মানিক ও কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম জীবন। বৈঠকে রংপুরের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই