বদলি চান কোম্পানীগঞ্জের ১০ পুলিশ কর্মকর্তা
কোম্পানীগঞ্জ থানা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার ১০ পুলিশ কর্মকর্তা বদলির আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বদলির আবেদনগুলো নোয়াখালী পুলিশ সুপার ও ডিআইজি চট্টগ্রাম বরাবর পাঠানো হয়েছে। আবেদনপত্রে তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি।
তবে বদলির জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া এক এসআই কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তারা নাখোশ হয়ে আবেদন করেছেন।
বিজ্ঞাপন
বদলির আবেদন করা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সরোজ কুমার আশ্চার্য, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জহির, আজিম উদ্দিন, বাবুল প্রমুখ। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ পর্যন্ত ১০ জন কর্মকর্তা বদলির আবেদন করেছেন। আমি আবেদনগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর পাঠিয়েছি। এর মধ্যে এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা ধৈর্য ধরে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, এ মুহূর্তে কি হচ্ছে তা বলা যাবে না। সরকারি চাকরি করলে আমাদের এমন রদবদল হয়। তবে সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন।
রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে চাই না। আপনারা সব জানার কথা। রাজনৈতিক ব্যক্তি চাইলে অনেক কিছু বলতে পারেন। আমরা চুপ থাকা ছাড়া কিছু বলার নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানান, কোম্পানীগঞ্জের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নাখোশ বেশিরভাগ পুলিশ কর্মকর্তা। তারা কর্মস্থলে চরম অস্বস্তির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। এজন্য একযোগে বদলির আবেদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, এ উপজেলায় নোয়াখালী সদরের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী সদরের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি বন্ধসহ তাদের টেন্ডার বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে গত দুইমাস থেকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন।
একই সঙ্গে তিনি ওই দুই নেতার সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হকের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
হাসিব আল আমিন/এমএএস