গাইবান্ধায় মিছিল থেকে আ.লীগের সম্মেলনে হামলা, আটক ১৬
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় ইমাম-ওলামা পরিষদসহ কয়েকটি সংগঠনের মিছিল থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ার, টেবিল ও মাইক ভাঙচুরসহ বেশ কিছু ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন।
শুক্রবার (১০ জুন) জুমার নামাজের পর শহরের পৌর শহীদ মিনার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও হামলার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র নুপুর শর্মাসহ দুই নেতার অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে দুপুরে জুমার নামাজের পর শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের ব্যানারে শতশত নেতাকর্মী অংশ নেন।
শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বের হওয়া মিছিলটি কাচারী বাজার মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশস্থলের পাশেই শহীদ মিনার চত্বরে পূর্ব নির্ধারিত পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চ থেকে মাইকের উচ্চ আওয়াজ আসে। এ সময় কিছু মিছিলকারী উত্তেজিত হয়ে মাইক বন্ধের দাবি জানান। একপর্যায়ে তারা মঞ্চে হামলা চালিয়ে মাইক, চেয়ার, টেবিল ও ব্যানার-ফেস্টুন ভাঙচুর করেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার ছবি ধারণের সময় ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সুমন মিয়াকে মারধর করা হয়। তার হাতে থাকা ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেন ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি রিক্তু প্রসাদ।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন পণ্ড করতে আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক বিশ্বনবী (সা.)-কে কটূক্তির প্রতিবাদের মিছিলে অংশ নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। এই হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের নাকি ইসলামী কোনো দলের নেতা-কর্মী তা তদন্ত করলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবে।
গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার কারণ এবং জড়িত অন্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ইমাম-ওলামা পরিষদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রিপন আকন্দ/আরএআর