যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারনে মাদক ব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে মফিজুর রহমান (৪৮) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। এর পরপরই ঘটনাস্থলে কয়েক দফায় ১০ থেকে ১২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

শুক্রবার (১০জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত মফিজুরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মফিজুর উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের মৃত গোলাম নবীর ছেলে। এ ঘটনায় শার্শা থানা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৩ জনকে আটক করছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাভারনের স্বর্ণ পট্টিতে মফিজুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে যান। এ সময় একই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ও বিএনপির তৃপ্তি গ্রুপের কর্মী মন্টু, রবি ও মাছুমসহ চার-পাঁচজন পূর্ব শত্রুতার জেরে হাসান জহির গ্রুপের মফিজুর রহমানের ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। 
স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা (বুরুজবাগান) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।  সেখানে আহত মফিজুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক যশোর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনার জেরে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার পর গ্রামের বিভিন্ন স্থান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কয়েক দফায় ১০ থেকে ১২টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শার্শা থানা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুজ্জামান মধু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাবু ও রবিউল ইসলামকে আটক করে। 

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপির তিন নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের আটকে পুলিশ কাজ করছে।

এ্যান্টনি দাস অপু/এসকেডি