কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় মদপানে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে শিলখুড়ি ইউনিয়নের পাগলাহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) একই গ্রামের শাহজামাল (৫০) নামে এক ব্যক্তিও অতিরিক্ত মদ পান করে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে খবর ওঠে। তারা দুজন পাগলাহাট বাজারে মাংস বিক্রি করেন।

নিহত দুজন হলেন শিলখুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ছাটগোপালপুর গ্রামের মৃত শফিউদ্দিন ব‍্যাপারীর ছেলে মিজানুর রহমান এবং একই গ্রামের ঘাতু মন্ডলের ছেলে শাহজামাল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান শুক্রবার পাগলাহাট বাজারে রাত ৮টার দিকে পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের এরশাদ হোসেনের (৩২) সঙ্গে অতিরিক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে গুরুতর অসুস্থ মিজানুরকে চিকিৎসার জন‍্য কুড়িগ্রামে নেওয়ার পথে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ সময় এরশাদ অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নেন।

মদপানে মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ভোর রাতে মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার (১১ জুন) সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়দের দাবি, সন্ধ্যা হলেই সীমান্তবর্তী এই পাগলাহাট বাজারে মাদকের হাট বসে। দূরদূরান্ত থেকে মাদকসেবীরা এখানে এসে মদ সেবন করে। তাদের ধারণা, মাদকের সঙ্গে এখানে রং করার কাজে ব্যবহৃত মিথাইল অ্যালকোহল ও হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেকটিফাইড অ্যালকোহল মেশানো হয়। তা পান করেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

শিলখুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, পরিবারের লোকজন মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করছে। কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ করছে, অতিরিক্ত মদপানেই তার মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তা-ই নয়, এর আগে যিনি মারা গেছেন, তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী জানান, মদপানে মিজানুর রহমানের মৃত্যুসহ বৃহস্পতিবার একই এলাকার শাহজামালের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। আহত ব্যক্তিসহ নিহত দুজন মাদকসেবী ছিলেন বলে ধারণা করছি। 

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় লোকজনের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সন্দেহের কারণে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. জুয়েল রানা/এনএ