বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১৭ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে আগেও বহিষ্কার হওয়া তিনজন রয়েছেন। সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার আগে দ্বিতীয় দফায় আবারও বহিষ্কার করা হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।

তিনি জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী অথবা স্বতন্ত্রভাবে কতিপয় নেতা-কর্মী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি তারা। তা ছাড়া সংগঠনের দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করছেন। এ জন্য গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ঠ) ধারা অনুযায়ী তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন আকন ও রুহুল আমিন পলাশ। কাজিরহাট থানার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদার। আন্ধারমানিক ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন খোকন, আবদুর রহমান পলাশ, কাজী শহীদুল ইসলাম। লতা ইউনিয়নের আবু রাশেদ মনি ও ফজলে রাব্বি। বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নের আবুল বাসার মাস্টার, শাহ আলমগীর ও তার প্রধান সমন্বয়কারী শাহাব উদ্দিন ফকির, মনির হোসেন ও তাহার প্রধান সমন্বয়কারী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মিয়া। জয়নগর ইউনিয়নের মনির হোসেন হাওলাদার। হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের মো. ফিরোজ হোসেন ও জাহাঙ্গীর মুন্সি। ধুলখোলা ইউনিয়নের মো. জামাল উদ্দিন ঢালী।

তাদের মধ্যে আন্ধারমানিক ইউনিয়নের কাজী শহীদুল ইসলাম, জয়নগর ইউনিয়নের মনির হোসেন হাওলাদার ও ধুলখোলা ইউনিয়নের জামাল উদ্দিন ঢালীকে এর আগেও বহিষ্কার করেছিল দল।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ জুন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যান্দপুর, লতা, আন্ধারমানিক, চরএকরিয়া, জয়নগর, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন ও হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ও ধুলখোলা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ