নারী চিকিৎসকের পথ আটকে অশালীন আচরণ, ৫ তরুণের কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে অশালীন আচরণের দায়ে ৫ তরুণকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার (১১ জুন) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ কারাদণ্ড দেন।
এর আগে মিঠামইন থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞাপন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মিঠামইন উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে তরিকুল (২০), বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইমন (১৮), দুলাল মিয়ার ছেলে রাতুল মিয়া (১৯), আমির হোসেনের ছেলে মো. নয়ন (১৯) ও শামীম মিয়ার ছেলে উৎসব (১৯)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশের সহায়তায় দণ্ডপ্রাপ্তদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১০ জুন) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসক জরুরি বিভাগ থেকে ডিউটি শেষে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ওই পাঁচ সদস্য রাস্তা আটকে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল সাফীকে অবগত করলে তিনি মিঠামইন থানায় অভিযোগ দেন। এতে ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার তাৎক্ষণিক তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ফোর্সকে নির্দেশ দেন। পুলিশ শনিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।
মিঠামইন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল সাফী এ বিষয়ে মিঠামইন থানায় অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসকে রাসেল/আরএআর