নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সুন্দরবনে মাছ ধরা হচ্ছে
খুলনা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির জুন মাসের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১২ জুন) জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে মাছ আহরণ সরকারিভাবে তিন মাস বন্ধ ঘোষণা করার পরও রাতের বেলা সুন্দরবনে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছ ধরা অব্যাহত আছে। বন বিভাগের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিনি সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিজ্ঞাপন
সভায় খুলনা জেলার রূপসা, তেরোখাদা, বটিয়াঘাটা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় সভায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
সভায় পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। তিনি মাদক এবং অপমৃত্যু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ বয়সের মানুষের জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। খুলনা মহানগরীতে এ পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৭২৫ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা জেলায় এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ এবং ৭৩ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বাল্য বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। নগরীর ডাকবাংলা ও এর আশপাশের এলাকায় রাস্তার ওপর ভ্রাম্যমাণ বাজার এবং নির্মাণ সামগ্রী অবৈধভাবে থাকার কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি কেএমপিকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ সময় জানানো হয় খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত মে মাসে ১৭০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত এপ্রিল মাসে দায়ের হওয়া মামলা থেকে ৩টি কম। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে মে মাসে ১৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে যা বিগত এপ্রিল মাসে দায়ের হওয়া মামলা হতে একটি কম।
সভায় জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই