হাতিয়ায় ট্রলারডুবির লাশ মিলল ৪০ কিমি. দূরে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে চার শিশু।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান ঘাট চ্যানেল থেকে আমির হোসেন নামে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমির হোসেন চান্দনী এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে টাংকির চর এলাকা থেকে জাকিয়া বেগম (৫৫) ও নিহা (১) নামে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে একই এলাকা থেকে হাছান (৭) নামে এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে চার শিশু। নিখোঁজরা হলো নার্গিস বেগম (৪), হালিমা (৪), লামিয়া (৩), ও আলিফ (১)।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় হাতিয়ার নলের চরে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নববধূ নিয়ে বরসহ ভোলার মনপুরা যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতজন, শুক্রবার একজন ও শনিবার দুইজন এবং রোববার একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে নববধূর মরদেহও রয়েছে।
ঘটনার দিন হাতিয়ার ডালচরে ট্রলারডুবিরঘটনা ঘটলেও প্রবল স্রোতে লাশ ভেসে যায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। জেলেরা নদীতে ভাসমান লাশগুলো ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন।
নিহত নববধূর বাবা ইব্রাহীম সওদাগর জানান, হাতিয়ার ডালচরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটলেও প্রবল স্রোতে পাঁচটি মরদেহ ভেসে যায় লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে। জেলেরা নদীতে ভাসমান মরদেহগুলো ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করে টাংকির ঘাটে নিয়ে আসে। পরে তারা রামগতি থানা পুলিশকে খবর দেয়। অপরদিকে দুইটি মরদেহ পাওয়া যায় চানন্দি ঘাটে।
তিনি আরও জানান, তার মেয়ে তাছলিমার সঙ্গে হাতিয়ার ঢালচরের বেলাল মিস্ত্রির ছেলে ফরিদ উদ্দিনের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার তাছলিমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে নেয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এএম