চুয়াডাঙ্গায় ছবি তুলতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে রোহান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি ও ফার্মপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় রোহান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহত রোহান চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের ক্লাবপাড়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক রায়হানের ছেলে রোহান (২০) ও উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোমবার বিকেলে খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি ও ফার্মপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে চলন্ত ট্রেন থেকে একজনকে পড়ে যেতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে আসে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূর জাহান রুমি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই কিশোর মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পেয়েছে। কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আহত রোহানকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রাশেদ বলেন, ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর পৌঁছালে তার অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী রাসেল হোসেন মুন্না ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত রোহানকে আগে থেকেই চিনতাম। সে টিকটক করা ও ছবি তোলার জন্য প্রায়ই ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় যাতায়াত করত। আজ ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে ছবি তুলছিল। এসময় ট্রাফিক সিগনালে হাত আটকে সে ট্রেন থেকে পড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, তার মা প্রবাসী। বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক। বাবার সঙ্গে থাকত রোহান। রাত ১২টার দিকে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলের ট্রাফিক সিগন্যালে হাত আটকে রোহান পড়ে যায়। ছবি তুলছিল কি না আমার জানা নেই। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।

আফজালুল হক/এসএসএইচ