সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম

ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রশাসনিক অদক্ষতা, অনিয়ম ‍ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে। বুধবার (১৫ জুন) রাতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-শাখার উপসচিব মো. ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা যায়, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রশাসনিক অদক্ষতা, অনিয়ম, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধার্যকৃত নিবন্ধন ও নবায়ন ফি হতে আদায়কৃত অর্থ বর্ণিত সিদ্ধান্তের বাইরে বেতন-ভাতা সম্মানী খাতে ব্যয় করা। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই টেন্ডার করা, দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে পৌরসভার জমি ভাড়ার টাকা দাবি করে ২৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা। ১৯৩ জন কর্মচারী নিয়োগে (মাস্টার রোল) অনিয়ম, ৬১টি বিলবোর্ডের ভাড়ার টাকা আদায়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা। পৌরভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ৩৮ লাখ টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণ না করে সে টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বোনাস, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা প্রদান। অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হতে পৌরসভা বঞ্চিত হওয়া ইত্যাদি।

এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে মর্মে বলা হয়েছে।

অপর এক প্রজ্ঞাপনে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে কেন তাকে উক্ত আইনের ধারা অনুযায়ী দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না সে বিষয়ে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে কি না তার কিছুই জানি না। বরখাস্ত পত্র হাতে পেলে সঠিক সময়ের মধ্যে জবাব দিব।

ইমরান আলী সোহাগ/আরআই