কুষ্টিয়া শহরের সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরের দিকে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে এ অভিযান চালানো হয়। 

এ সময় অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঈষিতা আক্তার।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম অনুযায়ী রোগীদের সেবা দিত না। রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দিত। অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা দালালদের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে এনে প্রতারণা করত। ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নির্দিষ্ট কোনো ডাক্তার বসতো না। ছিল না টেকনিশিয়ানও।

এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শারমিন নেওয়াজ ও পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
 
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে কুষ্টিয়ায় অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল বন্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে আজ সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। তারা রোগীদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই মনগড়া রিপোর্ট প্রদান করত। সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ ও অনিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে পারে না বা অবৈধভাবে পরিচালিত হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন অভিযান চলমান থাকবে।

রাজু আহমেদ/আরএআর