টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। তলিয়ে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক। বাড়িঘরে ঢুকেছে বন্যার পানি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

বন্যার পানি ইতোমধ্যেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করেছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশ ও বিদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, বন্যার পানি ইতোমধ্যেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে চলে এসেছে। ফলে আর কোনো ফ্লাইটের অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব হচ্ছে না। বিকেল ৪টা থেকে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সিলেটে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে সেনাবাহিনী। 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। যেভাবে পানি বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। 

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর