ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে বাসচাপায় মো. আলম মিয়া (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা। 

নিহত মো. আলম মিয়া গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া (পূর্ব নয়াকান্দি) গ্রামের মৃত গরিব হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পোড়াচক বাউশিয়া পশ্চিম নয়াকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জামালদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকামুখী সড়ক পার হওয়ার সময় তিশা পরিবহনের একটি বাস মো. আলম মিয়াকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আলম মিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘাতক বাস আটকের দাবিতে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ফলে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের মধ্যস্থতায় মহাসড়ক থেকে সরে যান অবরোধকারীরা। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা বলেন, নিহত আলম মিয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বাস তাকে পিষে ফেলেছে। এ রাস্তায় প্রতি মাসে দুই থেকে চারজন করে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারের কাছে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। 

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘাতক গাড়িটি আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে আছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। 

ব.ম শামীম/আরএআর