পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেছেন, এ বছর টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আগাম বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সিলেটসহ অনেকগুলো জেলা শহরে পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষ চরম কষ্টে আছে। এছাড়াও তিস্তা, যমুনা ও পদ্মাতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে নদী ভাঙন চলছে। সব কিছু মিলে এবার মনে হচ্ছে একটা শক্ত বন্যা মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।

শনিবার (১৮ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়নের যমুনার ভাঙন কবলিত ব্রাহ্মণগ্রামসহ ডান তীরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন পানি সম্পদ সচিব।

কবির বিন আনোয়ার বলেন, এনায়েতপুরে যমুনার ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজও চলমান রয়েছে। তবে নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্রাহ্মণগ্রামসহ দুই এক জায়গায় কিছুটা ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরিভাবে কাজ চলছে।

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, বগুড়া পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান সিরাজ ও সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এনায়েতপুরের দক্ষিণের বেশ কয়েকটি স্থানে আকস্মিক নদী ভাঙন দেখা দেয়। এতে ব্রাহ্মণগ্রামের পূর্বপাড়া তারকা মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়াও যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর