বান্দরবানে টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জুন) সকালে বান্দরবান পৌরসভার পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়। সেই সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল থেকে বান্দরবানে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যেতে পারে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর ওয়াবদা ব্রিজ, মেম্বারপাড়া, মধ্যমপাড়া, শেরে বাংলা নগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। এ ছাড়া শহরের কালাঘাটা বালাঘাটা লাঙ্গিপাড়াসহ সাত উপজেলায় পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে হাজারো মানুষ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া না হলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল বলেন, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকালের পর থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে, যা থাকবে আরও কয়েকদিন।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজি বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যারা বসবাস করছেন, তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা সরবেন না তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হবে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজন যাতে নিরাপদে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, এজন্য লামা পৌরসভা ও উপজেলার অন্তত পাঁচশ মানুষের জন্য চারটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

রিজভী রাহাত/আরএআর