পরকীয়ার টানে সন্তানসহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় নিজ শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে আনন্দ ভুঁইয়া (২৭) নামে এক যুবক। শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই যুবককে আটক করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। 

আড়াইহাজার থানা সূত্রে জানা যায়, আটক আনন্দ ভুঁইয়া আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখি গ্রামের আলাউদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে। বছর দুয়েক আগে একই উপজেলার বগাদী গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে হালিমার (২২) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের ঘরে একটি সন্তান আসে। পরকীয়ার টানে প্রেমিকের সঙ্গে তার স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় অভিমানে সে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় পুলিশকে।

আনন্দ ভূইয়ার বরাতে থানা পুলিশ আরও জানায়, আনন্দ ও হালিমার দাম্পত্য জীবন সুখকর ছিল না। হালিমা পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন বলে দাবি আনন্দের। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো। শনিবার (১৮ জুন) সকালে আনন্দ বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী ও সন্তান ঘরে নেই। পরে তার সন্দেহ হলে স্ত্রীর ফোনে কল করেন। তখন তার ফোন অপরিচিত এক যুবক ধরে বলেন, হালিমা ঘর-সংসার ছেড়ে চলে এসেছে। তাকে ফোন করতে নিষেধ করেন ওই যুবক। 

পরে তিনি এসব মেনে নিতে না পেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেন। থানার গেটের সামনে এসে নিজের পুরো শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিতে গেলে থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল হক হাওলাদার তাকে জাপটে ধরে প্রাণে বাঁচান।

আড়াইহাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, থানার সামনে এক যুবক নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিতে দেখে দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, ওই যুবকের নাম আনন্দ ভুইয়া। তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে সন্তানসহ অন্যত্র পালিয়ে গেছে। এই নিয়ে অভিমানে সে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিষয়টি দেখে দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করি। এতে সে শরীরে আগুন দিতে পারেনি।

বিষয়টি সমাধানের জন্য তার অভিভাবক, স্ত্রী ও শ্বশুরকে ডাকা হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনা ঘটাবেন না বলে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান আড়াইহাজর থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এসপি