গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে দুই মেয়েকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক মা। এ সময় স্থানীয়রা এক শিশুকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকি দুইজনের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে।

রোববার (১৯ জুন) বেলা ১২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৯ বছর বয়সী শিশু তাহমিদা আক্তারকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও ৪০ বছর বয়সী মা আরিফা আক্তার ও তার সাত বছর বয়সী মেয়ে মুর্শিদা আক্তার এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ আরিফা আক্তার কাপাসিয়া উপজেলার বিবাদিয়া গ্রামের মো. আলী মুন্সির মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী।

আরিফার ভাই এমারত হোসেন জানান, ১০/১২ বছর আগে স্থানীয় আব্দুল মালেকের সাথে তার বোন আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী আব্দুল মালেক মারা যান। এরপর থেকেই আরিফা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন এবং মানসিক ভারসাম্যহীনের কিছুটা লক্ষণ তার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।

উদ্ধার হওয়া শিশু তাহমিদা জানায়, আজ সকালে মা জুতা, সিঙ্গারা ও জামা কাপড় কিনে দেওয়া কথা বলে তাদের নিয়ে বাজারে আসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তাদের নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে দুজনকে দুই হাতে ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেওয়ার পর মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বাঁশের মাচা ধরে কান্না করতে থাকে তাহমিদা। এ সময় মাছ ধরতে আসা জেলেরা তাকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধার শিশুটির তথ্য অনুযায়ী দুই মেয়েকে নিয়ে তার মা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। এ সময় তার কান্নার শব্দ শুনে নদীর অপর পাশ থেকে জেলেরা নৌকা নিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। সে জানিয়েছে তার মা ও বোন এই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।

কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান বলেন, শিশু ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে শীতলক্ষ্যা নদীতে এখনো মা ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

শিহাব খান/আরআই