রংপুরের পীরগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নিজের গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন রশিদুল ইসলাম (৪০) নামে একজন। এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে বড় মেয়ে জিম (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় রশিদুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও সাত বছর বয়সী ছোট মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানা গেছে।

রোববার (১৯ জুন) রাত ৮টার দিকে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলাকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী ‍সূত্রে জানা গেছে, রশিদুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। রোববার সন্ধ্যার তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন রশিদুল।

এতে বড় মেয়ে জিমের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও ছোট মেয়ে। পরে রশিদুল ইসলাম বিষপান করে নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের দ্রুত উদ্ধার করেন। পরে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছুরিকাঘাতে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রশিদুল ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রশিদুল তার স্ত্রী ও মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে আহতদের রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/ওএফ