খুলনায় গত আড়াই মাসে ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সবশেষ বুধবার (২২ জুন) বিকেলে খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী প্রমিজ নাগের (২৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নগরের সোনাডাঙ্গা থানাধীন সিটি ইন হোটেলের পেছনের একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামের জোতিন্ময় নাগের ছেলে।

খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাহিদ হাসান মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র প্রমিজ নাগের ঝুলন্ত মরদেহ তার ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় হোটেল সিটি ইনের পেছনে সালাম হাওলাদারের বাড়ির চতুর্থ তলার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বাড়ির পাশের ফ্লাটে অবস্থানরত প্রমিজ নাগের সহপাঠিরা ফ্যানের হুকের সঙ্গে তাকে ঝুলে থাকতে দেখেন। এ সময় তারা প্রমিজ নাগের ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে থানায় খবর দেওয়া হলে মরদেহের সুরাতহাল রির্পোট করে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। তবে তিনি কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কাজল মণ্ডলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি যশোর অভয়নগরের পায়রা শমসপুর গ্রামের প্রহল্লদ মণ্ডলের ছেলে।

এর আগে ৪ এপ্রিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তু রায় (২১) ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সংসারে অভাবের কারণে পড়াশোনার খরচ জোগাতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

মোহাম্মদ মিলন/আরআই