রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় খরস্রোতা কাচালং নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ও রুপকারী ইউনিয়নের গোলাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুইজন হলেন মাচালং মন্দির পাড়া এলাকার সুকর চাকমা (৩২) ও রুপকারী এলাকার চিরজ্যোতি চাকমা (৪২)।

ঘটনার এক দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে রুপকারী ইউনিয়নের বিজয় ঘাট এলাকায় সুকর চাকমা ও গোলাছড়ি এলাকায় চিরজ্যোতি চাকমার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

মারিশ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আপন চাকমা ও সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফালঘুন চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাঘাইছড়িতে কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় বাঘাইছড়ির নিকটবর্তী খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বুধবার মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এই ব্যাপারে দীঘিনালা ফায়ার স্টেশনে যোগাযোগ করা হলে দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার শুভ্র চাকমা প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের এখানে ডুবুরি না থাকায় গতকাল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরি এনে আমরা ডুবে যাওয়া ব্যাক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছিলাম। 

গতকাল কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ সকালে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করতে পেরেছে বলে আমরা সংবাদ পেয়েছি। যেহেতু মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাই আমরা আর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করব না। 

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এভাবে মারা যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়লে স্থানীয়রা মাছ ধরার জন্য উদগ্রীব থাকেন। কিন্তু তারা যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন না করার কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে লোকজনকে সচেতন ও সতর্ক করছি।

মিশু মল্লিক/আরআই