বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর। প্রায় ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বন্দরে ৮৫৪ মেট্রিক টন ভাঙা চাল আটকে আছে।
 
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ মার্চ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স তুলসী অ্যান্ড সন্স এই বন্দর দিয়ে ৮৫৪ মেট্রিক টন ভাঙা চাল আমদানি করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি পণ্য খালাস করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। এর পর থেকেই উক্ত ৮৫৪ মেট্রিক টন ভাঙা চাল বন্দরের ১ ও ২ নং ওয়্যার হাউজে সংরক্ষিত আছে।
 
এদিকে জায়গা সংকটে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিনই। ১০ একর জমির ওপর স্থাপিত এই স্থলবন্দরটিতে মাত্র তিনটি ওয়্যার হাউজ রয়েছে। যার মধ্যে ১ ও ২নং ওয়্যার হাউজ দুটি ভাঙা চাল দিয়ে ভর্তি।  জায়গা সংকটের কারণে চলমান বর্ষা মৌসুমে ওয়্যার হাউজের বাইরেই বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে শ্রমিকরা পণ্য খালাস করছে। এতে চাল, গম, ভুট্টা ভিজে গেলে ক্ষতি গুনতে হচ্ছে আমদানিকারককে।

অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া পণ্যগুলোর মাধ্যমে স্থলবন্দর এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া।
 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিঃ এর পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এমনিতেই আমরা জায়গা সংর্কীনতায় ভুগছি তার ওপর প্রায় ২ বছর যাবৎ আমাদের ১ ও ২নং ওয়্যার হাউজ দুটি কার্যত দখল হয়ে আছে ভাঙা চাল দিয়ে। আমরা বার বার কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে উক্ত চাল নিলামের জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু কাস্টম কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবে পড়ে আছে চালগুলো। এতে প্রায় ২ (দুই) কোটি টাকার ওয়্যার হাউজ চার্জ হারিয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। 
 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুল হক বলেন, চাল নিলামের বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব দিয়েই সমাধান করার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যেই নিলামের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুতই নিলামের কার্য সম্পাদন করা হবে। 

এমএএস