সাভারের আশুলিয়ায় জরিমানার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে রিকশাচালকরা। এ ঘটনায় সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের পল্লীবিদ্যুৎ-পলাশবাড়ী ইউটার্নে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন রিকশাচালকরা।

রিকশাচালকরা বলেন, আমরা রিকশা নিয়ে মহাসড়কে না উঠলেও হাইওয়ে পুলিশ আমাদের রিকশা ধরে ২৬০০ টাকা জরিমানা করেন। এক মাসে কয়েকবার পর্যন্ত জরিমানা আদায় করে পুলিশ। আমরা গরিব মানুষ, প্রতি সপ্তাহে যদি ২৬০০ টাকা দেই, তাহলে আমরা কীভাবে চলব। আমাদের রিকশা ধরলে আন্দোলন চলমান থাকবে।

রিকশাচালক বাচ্চু বলেন, আমি শাখা সড়কে রিকশা চালাই। মহাসড়কের মুখ থেকে আমার রিকশা এই মাসে ৪ বার ধরে নিয়ে যায় হাইওয়ে পুলিশ। এই মাসেই আমার কাছ থেকে জরিমানা নিয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিবার না খেয়ে মরে যাবে।

রিকশাচালক জসিম বলেন, এই মাসে আমার রিকশা ধরেছে ৩ বার। র‌্যাকার ধরেছে ১ বার, হাইওয়ে পুলিশ ধরেছে ২ বার। মাসে একবার ধরলেও আমরা চলতে পারি। কিন্তু প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার ধরলে আমাদের ঋণ করতে হয়। গতকাল রিকশাচালকরা মাইকিং করে সমাবেশের ডাক দেয়। বাইপাইল মোড়ে আমরা সমাবেত হই। সেখান থেকে বিক্ষোভ করে পল্লীবিদ্যুতের দিকে আসি। পলাশবাড়ির ইউটার্নে আসলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। পরে রিকশাচালকরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।

চন্দ্রামুখী মৌমিতা বাসের চালক আনোয়ার বলেন, ১১টা থেকে পল্লীবিদ্যুতে বসে আছি। সড়ক বন্ধ করে রেখেছে রিকশাচালকরা। যাত্রীরা প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। সড়ক ছেড়ে দিলে আমরা ও আমাদের যাত্রীরা বাঁচে।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়ক অবরোধের ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশসহ আমাদের টিম যাচ্ছে। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। 

তবে রিকশাচালকরা বলছেন, সড়ক আছে যেখানে রিকশা চলবে সেখানে। তবে মহাসড়কে রিকশা চলার নিয়ম নেই। আর যদি চলে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি