বরগুনায় এক নারী দোকানিকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৭ জুন) রাত ১২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী নারী পারভিন বেগম (৩০) একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। বৈকালিন বাজারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে তার। 

ওই নারীর স্বজনরা জানান, গতকাল সোমবার (২৭ জুন) রাতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে বরগুনা থেকে বৈকালীন বাজারে আসেন পারভিন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে ৪-৫ জন লোক এসে তাকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। 

স্থানীয়রা পারভিনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। এ ঘটনায় এক মোটরসাইকেল চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী নারীর বাবা শাহজাহান মিয়া বলেন, পার্শ্ববর্তী লেমুয়া এলাকার বশির, নজরুল নাসিরসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল আমাদের। পূর্ব বিরোধের জেরে রোববার (২৬ জুন) রাতে পারভিনের দোকানে হামলা চালায় নাসির, বশির ও নজরুলরা। পরদিন এ ঘটনার বিচার চাইতে স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে গেলে তারা পারভিনের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়। ওরাই আমার মেয়েকে অ্যাসিড মেরেছে। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, পারভিনের চিৎকারে ছুটে যান স্থানীয়রা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে কামাল নামে একজনকে ধরে ফেলেন তারা। পরে ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কামালকে আটক করে। আটক কামালের বাড়ি গাবতলী গ্রামে। সে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী সার্জন সামসুদ্দোহা শামস বলেন, ওই নারীর মুখে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে তার মুখমণ্ডল, চোখ ও গলার উপরিভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়েছে। 

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খান নাঈম/আরআই