কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে বন্যার কারণে গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেয়া মেছোবাঘকে ভয়ঙ্কর প্রাণি ভেবে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামের মাস্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বড়কান্দা গ্রামের লোকজন দুপুরে এ প্রাণিটিকে মেরেছে এমন একটি পোস্ট আমি ফেসবুকে দেখেছি। তবে আমি এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।

বড়কান্দা গ্রামের যুবক কাওসার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ প্রাণিটি গ্রামের মাস্টার বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল। তা দেখে বাড়ির সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণিটি বাড়ির হাঁস, মুরগি, ছাগল বা মানুষের ক্ষতি করতে পারে, এমন ভয়ে দুপুরে এলাকার সবাই মিলে গোয়াল ঘরটিকে ঘেরাও করে মেছোবাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু হাসান জানান, আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। বন্যার কারণে হয়তো প্রাণিটি মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রাণিটিকে এভাবে হত্যা করা ঠিক হয়নি।

কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার মো. তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেছোবাঘ আসলে একটি নিরীহ প্রাণি। এটি সাধারণত সাপ ও মাছ খেয়ে জীবন ধারণ করে। বন্যার কারণে হয়তো প্রাণিটি লোকালয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। মেছোবাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে যদি কেউ এ বিষয় আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। আর তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে হত্যাকারীর এক বছরের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা হবে।

এসকে রাসেল/এমএএস