সাভারের আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার (বিপিএম, পিপিএম)।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুছ আলী কলেজ পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, আমি এখানে শিক্ষকদের সাথে কথা বলতে এসেছি, যাতে স্কুলের শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ না হয়। স্কুলের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়েই এখানে আসা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ ছিল তা সরেজমিনে জানার জন্য ঘটনাস্থলে এসেছি। এসব বিষয় আমাদের তদন্তে উঠে আসবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মামলায় কম বয়স দেখানোর বিষয়ে মারুফ হোসেন সরদার বলেন, মামলায় কী দেখানো হলো এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। প্রয়োজনে ডাক্তারি পরীক্ষা করে নিয়ে আসব। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য।

তিনি আরও বলেন, তদন্তে ধীর গতির কোনো কিছু নাই। ঘটনা জানার পর থেকেই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম প্রথম থেকেই স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। এরই মধ্যে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। এর মধ্যে মামলার যে মূল আসামি, তার বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া খুব শীগ্রই মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে শিক্ষক উৎপলকে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে তারই এক ছাত্র। পরে শিক্ষককে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (২৭ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

এ ঘটনায় রোববার আশুলিয়া থানায় নিহত শিক্ষকের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পর থেকেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

মাহিদুল মাহিদ/আরআই