নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিক্ষকের পিটুনিতে আহত হয়ে সপ্তম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্স ইউনিট) ভর্তি রয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় তানিয়া ও সামিয়া নামে দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে আনা হলে, জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এইচডিইউতে প্রেরণ করেন। তবে গতকালের চেয়ে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা এখন কিছুটা সুস্থবোধ করছে।

শনিবার (০২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগান বাড়ি এলাকার মৃত মোমেন ভূইয়ার মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৪) ও একই উপজেলার তারাব পৌরসবার বরপা কর্নগোপ এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে সামিয়া সিমি নিশী (১৩) গুরুতর আহত হয়।

আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈদের ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এই আনন্দে ছাত্রীরা সবাই জড়ি ও চুমকি মাখামাখি করে।

এক পর্যায়ে তানজিলা ও সামিয়াকে শিক্ষক জসিম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাদের এলোপাথাড়ি বেত্রাঘাত করেন। এতে তারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে আহত দুই শিক্ষার্থীকে অন্য শিক্ষকরা উদ্ধার করে ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জসিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক এ. এফ. এম. সায়েদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, শিক্ষকের পিটুনিতে দুই শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে হাসপাতালে ও স্কুলে পাঠিয়েছি তদন্ত করার জন্য। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএইচএস