পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষের আয় বেড়েছে। যারা মধ্যবিত্ত ছিলো তারা উচ্চবিত্ত হয়ে গেছে। তারা মানুষকে সহায়তা করতে পারছে। 

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমাদের দুটি কাজ ত্রাণ ও নির্মাণ। গ্রামীণ বসতঘরগুলোর ভয়ংকর একটা অবস্থা। গ্রামের ঘরগুলোর খারাপ অবস্থা, ফ্লোরের খারাপ অবস্থা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা করেছি গ্রামের ঘরে যেন অন্তত ফ্লোরটা পাকা থাকে এবং চারটি খুঁটি পাকা থাকা থাকে সেই ব্যবস্থা করার। আমরা হাজার হাজার পাকা খুঁটি তৈরি করব, সেখান থেকে চারটা-পাঁচটা খুঁটি দিয়ে মানুষের জন্য ঘর তৈরি করে দিব। চার-পাঁচ ইঞ্চি সিসি ঢালাই দিয়ে ফ্লোর পাকা করে দিব। এমন একটা প্রকল্প নিব। 

ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বসতবাড়ির পরেই যেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা হচ্ছে সড়ক। গ্রামীণ সড়কগুলো প্রায় শেষ, টোটালি বিধ্বস্ত। এগুলোকে প্রাথমিকভাবে চলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। হেঁটে হলেও যেন মানুষ চলতে পারে। এ সময় তিনি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আরও বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কামরুল হাসান, সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি নুরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু বাবুল, র‍্যাব-৯ এর অধিনায়ক মোমিনুল হক, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। 

আরএআর