ডাম্পিং ইয়ার্ড সম্প্রসারণ করবে রাসিক
ডাম্পিং ইয়ার্ড সম্প্রসারণ করবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। সেই সঙ্গে ভ্যাকুয়াম ট্যাংকারও কিনবে। এই তথ্য জানিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সিটি ওয়াইড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন (সিডব্লিউআইএস) প্রকল্পের মতবিনিময় সভায় মেয়র এই তথ্য জানান। নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র।
বিজ্ঞাপন
মেয়র লিটন বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পয়বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য। ৮০’র দশকে এ নগরে পয়বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছিল খুবই দুর্বল। বাড়ি বাড়ি থেকে দিনের বেলায় পয়বর্জ্য সংগ্রহ করে তা ডাম্পিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হতো। পরবর্তীতে এ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।
মেয়র স্বীকার করেন, নগরেতে এখনো কিছু কিছু এলাকায় পয়বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। এখনো অনেকে সরাসরি ড্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন যা সত্যিই কষ্টকর। এ বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সিটি মেয়র আরও বলেন, রাজশাহী একটি পরিচ্ছন্ন সবুজ ও নির্মল বায়ুর শহর হিসেবে পরিচিত। নগরবাসীর আন্তরিক সহযোগিতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। ইপিআই কার্যক্রমে পরপর ১০ বার দেশসেরা রাজশাহী সিটি করপোরেশন। পরিবেশ উন্নয়নে দ্বিতীয়বারের মতো এ বছর জাতীয় পরিবেশ পদক লাভ করেছি।
সভায় মেয়র নগরীর স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণে ওয়ার্ড পর্যায়ে মতামত নিয়ে কাজ করন ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যাচিহ্নিত করে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ভূমিকা জোরদার করে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান নাজিবুল্লাহ হামীম জানান, ইউনিসেফের সহায়তায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন পয়বর্জ্য সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণ এবং পয়বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের উপযুক্ত স্থান বিবেচনা করে পুরো শহরের জন্য সমন্বিত স্যানিটেশন পরিকল্পনা প্রনয়ণ, পরিপূর্ণ সেবা ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়নে গণসচেতনতা, প্রচারণা এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সামাজিক চাহিদা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন, ইউনিসেফের রাজশাহীর প্রোগ্রাম অফিসার বেগম জেরিনা রেশমা, কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফিসার মনজুর আহমেদ, ওয়াশ অফিসার রুহুল আমিন, প্রোগ্রাম অ্যাসিসটেন্ট ফারজানা ফেরদৌসী, সোনিয়া আফরিন প্রমুখ।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই