এক দিন পরই মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পশু কোরবানি ও নামাজ আদায়সহ ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন মুসলমানরা। আর তাই ঈদ উদযাপনের জন্য নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন লাখো মানুষ। প্রায় ফাঁকা সাভার ও এর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পিচঢালা সড়ক। সুনসান নীরবতার চাদরে যেন ঢেকেছে মহাসড়কগুলো। দীর্ঘ সময় পর দুই একটি গাড়ি যাতায়াত করছে মহাসড়কগুলোতে।

শনিবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার, নবীনগর, বাইপাইল-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল জিরানী ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া আশুলিয়া ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে বাড়ি যেতে পারেননি এখনো অনেকেই। গাড়ি সংকটের কারণে অনেকেই ফিরে এসেছেন বাস স্ট্যান্ড থেকে।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হাসান রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন বাইপাইল থেকে।  তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুরো সড়ক ফাঁকা। আমি সাড়ে ৫টার দিকে রওনা করে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটে রাজবাড়ী পৌঁছে গেছি। অন্য স্বাভাবিক সময়ে রাজবাড়ী পৌঁছাতে সময় লাগত প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা। সে তুলনায় আজই বেশি স্বস্তিতে বাড়ি ফেরা হলো।

নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল বাস স্ট্যান্ডে এখনো কিছু মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। কুড়িগ্রাম যাওয়ার জন্য তেমনি দাঁড়িয়ে আছেন পোশাকশ্রমিক মোখলেসুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডে এসেছি। এসে দেখি মহাসড়ক ফাঁকা। দীর্ঘ সময় পর পর দুই একটি গাড়ি আসে। যে গাড়ি পাব সে গাড়িতেই উঠে চলে যাব। 

সাভার বাস স্ট্যান্ডের সাভার পরিবহনের লাইম্যান তরিকুল বলেন, সাভারের মহাসড়ক গতকাল থেকেই ফাঁকা। তবে রাতে একটু আমিনবাজার থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। আজ মহাসড়কে তেমন গাড়ি নাই। শব্দ নাই। তবে তীব্র গতিতে এখনো কিছু ট্রাক পিকআপ সড়ক দিয়ে ছুটছে। মাঝেমধ্যে যাত্রীবাহী বাস দেখা যাচ্ছে। তবে মহাসড়ক এখন ফাঁকাই বলা যায়।

বাইপাইল টিকিট কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার মামুন বলেন, এখন গাড়ি তেমন একটা নেই। কিছু লোক এখনো গাড়ির অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ট্রাকে কিংবা পিকআপে যাচ্ছেন। তবে মহাসড়ক এখন ফাঁকাই। বর্তমানে যে টুকু গাড়ি চলাচল করছে বেলা গড়ার সাথে সাথে সেটুকুও চলবে না।

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ নেই। মহাসড়ক ফাঁকাই বলা যায়। আমাদের টিম প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে এখনও রয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/আরআই