সালথায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১২
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে দুই দফায় এ সংঘর্ষ হয় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ ও দিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায়।
আহতদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দুটি শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্লার (৫১) সঙ্গে ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ সমর্থক নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের (৫৩) মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে আবু জাফর মোল্লা একটি মোটরসাইকেলে করে জয়ঝাপ গ্রামে তার বাড়িতে যাওয়ার সময় নুরুল ইসলাম মাতুব্বরের সমর্থকরা পেছনের দিক থেকে হামলা করে। এতে আবু জাফর মোল্লা আহত হন।
বিজ্ঞাপন
হামলার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় আবু জাফর মোল্লা ও নুরুল ইসলাম মাতুব্বর গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, টেঁটা ও ইটের টুকরো নিয়ে দিয়াপাড়া ও জয়ঝাপ গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের সময় ১টি বসতঘর ও ৪টি দোকানঘর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় সালথার দিয়াপাড়া গ্রামের জাহিদের ছেলে আলমাস (১৭), আবু জাফর মোল্লা (৫১), তার ছেলে রিয়াজ (১৭), সোনা মিয়ার ছেলে নাঈম (২১), লাল মিয়ার ছেলে সুমন (২০), হালিমের ছেলে মুরাদ (৩০), হোসেন মাতব্বরের ছেলে রেজাউল (৩০), রাজ্জাক মাতুব্বরের ছেলে ইমরুল (২৬) আউয়ালের ছেলে হাবিবসহ (৩৩) বারোজন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদী বলেন, গট্টি ইউনিয়নের দুটি বিবাদমানপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জহির হোসেন/আরআই