মোটরসাইকেলচালক হত্যার ১৩ বছর পর চারজনের যাবজ্জীবন
খুলনা জজ আদালত
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় আসমাউল মোড়ল ওরফে জীবন (২৮) নামের এক মোটরসাইকেলচালক হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। নিহত আসমাউল মোড়ল ওরফে জীবন ডুমুরিয়ার বাগদাড়ি নোয়াকাঠি এলাকার জহুরুল হক মোড়লের ছেলে। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন জীবন।
বিজ্ঞাপন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ডুমুরিয়ার বান্দা উলোরডাঙ্গা এলাকার হরিদাস রায়ের ছেলে শুভঙ্কর রায় (২৫), বান্দা এলাকার নিত্যরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে অমিত বিশ্বাস (২৮), উপজেলার বান্দা উলোরডাঙ্গা এলাকার হরিচাঁদ রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায় ও ওরফে কাঙ্গাল (২৮) ও ডুমুরিয়ার ৪ নম্বর তালতলা এলাকার মৃত জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুধাময় বালা ওরফে সুধাবৃন্দ বালা (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ মামলার আসামি ছিলেন ১২ জন। চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মোটরসাইকেলে ডুমুরিয়ার রংপুর ইউনিয়নে যাওয়ার কথা বলে ২০০৭ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে আছমাউলকে মোবাইলে ডেকে নেন আসামিরা।
এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন ডুমুরিয়ার খড়িয়ার ওয়াবদার কাছ থেকে বুকে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় আছমাউলের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আছমাউলের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডুমুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লস্কর জায়েদুল হক ২০০৮ সালের ৬ আগস্ট ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মোহাম্মদ মিলন/এএম