ফরিদপুরের নগরকান্দায় ৬০ মে. টন পচা চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম পরিদর্শক। গত ৮ জুলাই তিনটি ট্রাকে করে মধুখালী খাদ্য গুদাম থেকে ওই চাল নগরকান্দায় আনা হয়। তবে মধুখালী খাদ্য গুদাম থেকে চালের মান খারাপ হওয়ায় ট্রাক থেকে চালের বস্তাগুলো গুদামজাত করেননি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম পরিদর্শক আলী আজাহার।

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন চারটি খাদ্য গুদাম রয়েছে। মধুখালী থেকে আমন মৌসুমে সংগ্রহ করা (যা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে) ৩৫০ মে. টন চাল নগরকান্দা গুদামে পাঠানোর কথা। এর অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে মধুখালী থেকে একশ মে. টন চাল পাঠানো হয়। সেই চাল মানসম্মত হওয়ায় তা নগরকান্দার খাদ্য গুদামে রাখা হয়। 

গত ৮ জুলাই মধুখালী খাদ্য গুদাম থেকে আরও ৬০ মে. টন চাল নগরকান্দায় পাঠানো হয়। কিন্তু এ চাল মানসম্মত না হওয়ায় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম পরিদর্শক আলী আজাহার ওই চাল গুদামজাত করেননি। ফলে গত পাঁচ দিন ধরে ওই চাল তিনটি ট্রাকে ভর্তি অবস্থায় রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম পরিদর্শক আলী আজাহার বলেন, ট্রাকের চাল পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা নিম্মমানের। ফলে তিনি ওই চাল খালাস করেননি। তিনি বলেন, এ চাল মধুখালীতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

নগরকান্দা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আফজল হোসেন বলেন, মধুখালী গুদাম থেকে যে চাল পাঠানো হয়েছে তা পুরনো এবং ঘোলা হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আদ্রতা বেশি থাকায় এ সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তিনি মধুখালীর ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম পরিদর্শক নাজমুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। নাজমুল হোসেন তাকে জানিয়েছেন চালের বস্তাগুলো ঈদের আগে তাড়াহুড়ো করে পাঠানো হয়েছে। শ্রমিক দিয়ে কাজ করায় নিম্মমানের চাল যেতে পারে। ওই চাল ফেরত পাঠিয়ে দিলে তিনি তা গ্রহণ করবেন। তবে এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তার অনুমোদন প্রয়োজন।

জহির হোসেন/এমএএস