আজ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল লিজা আক্তারের। বাবা আব্দুল হক সরদার সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসীকে দাওয়াতও করেছিলেন। আজ বউ সেজে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার কথা থাকলেও বুধবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস নেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবার মরদেহ পেলে আজ লিজা আক্তারের দাফনের আয়োজন করবেন তারা। 

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেজগাতি গ্রামে। লিজা বার্থী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। 

লিজার বাবা বলেন, আজ বরযাত্রী আসার কথা ছিল। দাওয়াত দেওয়া শেষে অনুষ্ঠানের বাজারও সম্পন্ন করেছিলাম। বিয়ের বাজার ও অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে পরিবারের সবাই ব্যস্ত ছিলাম। এরই মধ্যে সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে লিজাকে ঝুলতে দেখি। পরে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

লিজা কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা কেউ জানতে পারে‌নি।

তিনি বলেন, বিয়েতে রাজি হওয়ার পরই পাকা কথা হয় ছেলেপক্ষের সঙ্গে। এমনকি লিজা যেভাবে বলেছে, সেভাবেই বিয়ের বাজার করা হয়েছে। তারপরও কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা বলতে পারছি না।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ওই মেয়ের বিয়ে হয়েছে আরও পাঁচ মাস আগে। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে স্বামীর বাড়ি তুলে নেওয়ার অনুষ্ঠান ছিল। কিন্তু তার আগেই আত্মহত্যা করেছেন। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই