১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে মোটরসাইকেল-স্মার্টফোন কিনেছেন তিনি
আমিরুল ইসলাম সুজন
নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। সেই পরিচয়ে করে বেড়ান ছিনতাই-চাঁদাবাজি। ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে ভাগে পেয়েছেন দুই লাখ টাকা। সেই টাকা দিয়ে কিনেছেন নতুন মোটরসাইকেল ও স্মার্টফোন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই মামলার আসামি মো. আমিরুল ইসলাম সুজন (২৮) সম্পর্কে এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সুপার বলেন, ১৯ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ৩৩ দিন পর পুলিশ ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে নগদ ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার ও ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী দুই ভাই ইয়াছিন আরাফাত রহিম (৩২) ও মহিন উদ্দিন সোহাগ (৩৮)। রহিম পৌর ছাত্রলীগের কথিত নেতা হিসেবে সর্বত্র নিজেকে পরিচয় দেন। যদিও এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাই তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৩ জুলাই) রাতে ৪ ছিনতাইকারীকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর করিমপুর এলাকার এছাক মিয়ার বাড়ির মো. আবুল কাশেমের ছেলে যুবায়েদ হোসেন বিপ্লব (২৮), চৌমুহনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌর হাজিপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে পারভেজ (৩০), ১১নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত অজি উল্যার ছেলে আমিরুল ইসলাম সুজন (২৯) ও গনিপুর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন (৩৭)।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ২০ জুন দুপুরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাস্টার এজেন্ট এসবি টেলিকমের মালিক মো. সাইফুল বাশার (৪৩) চৌমুহনী বাজার এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা থেকে টাকা নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা গুলোতে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতরা ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। ২১ জুন মামলা করা হলে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। তাদের কাছ থেকে সর্বমোট ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা, ৩টি মোটরসাইকেল ও ২টি নতুন স্মার্টফোন জব্দ করা হয়েছে।
অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকে গ্রেপ্তারকৃতদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। তারপর রিমান্ড চেয়ে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোর্তাহিন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর