আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- ‘ঈদের পরে আন্দোলন হবে।’ আজ ৭ বছরেও সেই আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরুও হয়নি, সেই আন্দোলনের কোনো খবরই নাই। বিএনপি নিজের আন্দোলন নিজেই খেয়ে ফেলে ঘরের মধ্যে ঢুকে বসে আছে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজশাহীর তানোরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তানোরের গোল্লাপাড়া বাজার মাঠে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন লিটন।

বিএনপির সমালোচনা করে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যে দলের নেতারা ঢাকায় চমৎকার বাড়ি ছেড়ে, এসি গাড়ি ছেড়ে রাজপথে সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে, পথে-প্রান্তরে দাঁড়িয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলার মানসিকতা রাখে না, সেই দলের কথায় বাংলার মানুষ কান দেবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতারা শকুনের মতো। মির্জা ফখরুল গংরা বাংলার আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে আর খুঁজছে কোথায় শেখ হাসিনার সরকারের ক্রটি হলো। সেটা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করবে, আন্দোলন করবে।

মেয়র লিটন বলেন, বিএনপি বলছে, তাদের কথামতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলা না দিলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলায় কোনো নির্বাচন হবে না। যেভাবে সারা বিশ্বে, ইংল্যান্ডে, ভারতে, যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দল থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় আসবে।

তিনি বলেন, দেশের এখনো অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি আছে। সেই কাজটি আওয়ামী লীগ করছে, আগামীতেও করতে চায়। শেখ হাসিনা আগামীতেও ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এটি আপনারা-আমরা সকলে চাই। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ ভালো, নিরাপদে ও শান্তিতে থাকবে। সেই কারণে আওয়ামী লীগকে দরকার। আওয়ামী লীগের মতো অপরিহার্য দল বাংলাদেশে আর নেই।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একটু সুযোগ পেলে এবং একটু সুযোগ না পেলেও যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলে, সেই খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল গংরা বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ হঠাৎ করে নাই হয়ে যাবে। তাদের মুখে ছাই দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ বছর ঈদের আগ পর্যন্ত প্রবাসী ভাইয়েরা ৫২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এটিই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা। 

তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া বেগম, সদস্য বেগম আকতার জাহান, সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম,  রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর