খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কুচির মোড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে শামীমা শারমিন (৩৫) নামে এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ওই নারীর বাবা আব্দুল গফ্ফার গাজী বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, আব্দুল খালেক গাজী, আরাফাত হোসেন, আকফার হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, সাহিদুর রহমান, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএমএস দোহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলি বলেন, নির্যাতিত নারীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা আমলে নিয়ে অভিযান শুরু হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার (১১ জুলাই) জমি সংক্রান্ত বিরোধেরে জেরে নির্যাতিতার চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ওই নারী তার বাবা ও ভাইকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার ওপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফোন করলে কয়রা থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানের ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেকে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, তিনি বাবার বাড়ির পাশে জমি কিনে সেখানে বসবাস করছেন। তার বাবা একা হওয়ায় প্রায়ই প্রতিপক্ষ তার ওপর অত্যাচার করে। এক বছর আগে একই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেওয়া হলে সে সময় তাদের ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা তারা পরিশোধ করেনি। ঈদের পর দিন সোমবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন শারমিনের বাবার বাড়িতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেন তিনি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে অভিযুক্তরা।  

মোহাম্মদ মিলন/এসকেডি