স্বজনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা। তবে বাস সংকটে শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুর জেলার শিবচরের বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। বাস না পেয়ে তারা টোল প্লাজা, শিবচরের পাঁচ্চর, সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

জানা যায়, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই। ওই এলাকায় গাড়ি থামানো হয় না। এতে গাড়ির জন্য আশপাশের যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অন্যদিকে শিবচরের পাঁচ্চর ও সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ডেও থামানো হয় না বাস। এতে পদ্মা সেতুর আশপাশের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী বাসের জন্য যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেন টোল প্লাজার সামনে। আবার কেউ বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনিতে নিচে। তারা বাস আসতে দেখলেই থামানোর ইশারা করছেন। যাত্রী পরিপূর্ণ থাকায় বাসগুলো না থেমেই চলে যাচ্ছে। দুই একটি বাস থামালেও তাতে উঠতে লেগে যাচ্ছে হুড়োহুড়ি। তাছাড়া কোনো সিট খালি না থাকায় দাঁড়িয়েই যেতে হচ্ছে। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নারী ও শিশুরা। 

আরমান খান নামে এক যাত্রী বলেন, টোল প্লাজা এলাকায় এসে দাঁড়িয়ে আছি অনেক সময় ধরে। বাস আসে কিন্তু থামে না। যদিও থামে, কোনো জায়গা নেই বসার। ছেলেমেয়ে নিয়ে এত সময় ধরে বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। টোল প্লাজার আশপাশে কোনো বাসস্ট্যান্ড নেই।

জাজিরার কাজির হাট থেকে আসা আক্তার হোসেন বলেন, আগে লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়েছি। এখন লঞ্চ বন্ধ। পদ্মা সেতু দিয়ে পার হব। কিন্তু সেতু হওয়ায় সুবিধার পরিবর্তে মনে হচ্ছে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। বাস মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে আমাদের দুর্ভোগ এখন তুঙ্গে। 

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় মহাসড়কে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বেশি থাকে। তবে এখানে বাস তেমন না দাঁড়ানোর কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশ সড়কে টহল অব্যাহত রেখেছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর